জল
জলের ব্যবহার:-১) খাবার, রান্নার, স্নানের, জামাকাপড়-বাসনপত্র ধোয়ার, শৌচালয়ে ব্যবহার ইত্যাদি কাজের জন্য। ২) শ্যোচকার্যে জন্য। ৩) শিল্প এবং বানিজ্যের জন্য। ৪) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজের জন্য যেমন – অফিস, স্কুল, কলেজ, হষ্টেল, হাসপাতাল ইত্যাদি স্থানে কাজের জন্য জল ব্যবহার করা হয়।
* জল কিভাবে দূষিত হয়?
অজৈব যৌগ ও খনিজ পদার্থ - খনি ও শিল্প কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্যের মধ্যে থাকা অ্যাসিড, খনিজ তন্তু ও ভারী ধাতু জলদূষণের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন উৎস। ভারী ধাতু যেমন - আর্সেনিক, কোবাল্ট, কপার, পারদ, সিসা, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি জলের সাথে মিশে গিয়ে জল কে দূষিত করে।
* জল প্রদূষন কিভাবে রোধ করা যায়?
কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস - কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও আগাছানাশক ওষুধের ব্যবহার কমালে কৃষি জমি থেকে ধুয়ে আসা জল দূষক পদার্থের পরিমান কমবে এবং জলদূষণের মাত্রা হ্রাস পাবে।
উষ্ণ জল শীতলীকরন - তাপ ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং লৌহ ইস্পাত ইত্যাদি শিল্পকেন্দ্র গুলির প্রচণ্ড গরম জলকে ঠাণ্ডা করে নদী বা সমুদ্রে ফেললে জলের ভৌত ধর্ম বজায় থাকে।
খনিজ তেল পরিবহনে সর্তকতা অবলম্বন - সমুদ্রের অগভীর অংশ থেকে খনিজ তেল উত্তোলন ও জাহাজে করে পরিবহনের সময় যাতে তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
জলের অপব্যবহার রোধ - জলাশয় বা নদনদীতে কাপড় কাঁচা, গবাদি পশুর স্নান ইত্যাদি বন্ধ করলে জল দূষণ হ্রাস করা সম্ভব।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি - জল একটি মহার্ঘ বস্তু। তাই জলের দূষণে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কুপ্রভাব অবসম্ভাবী। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পানীয় জলের তীব্র সংকট ঘটবে। এবিষয়ে মানুষ কে সচেতন করে তুলতে পারলে জলদূষন বহুলাংশে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।
* দূষিত জল পান করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর:- দূষিত জল পান করলে বিভিন্ন রোগ যথা ডায়েরিয়া, ডিসেণ্ট্রি, আন্ত্রিক, টাইফয়েড, জণ্ডিস, কৃমিরোগ প্রভৃতির সৃষ্টি হতে পারে। এই ধরণের রোগ গ্রামাঞ্চলে প্রায়শই দেখা যায়। শহরাঞ্চলেও বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। ভারতবর্ষে এখনও প্রতি বছরে প্রায় 15 লক্ষ শিশু (৫ বছরের কমবয়সী) ডায়েরিয়াতে মারা যায়।
No comments:
Post a Comment